ফেইসবুক পেইজ খুলে হাজার হাজার ভূয়া চাকরির জন্য নিয়োগ প্রতারক চক্রের ২০ জন আটক।
অনলাইন ডেস্ক,
রাজধানী ঢাকার মহাখালী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১’র সদস্যা। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির নাম করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতো এ চক্রটি। সোমবার (২২ জুন) গাজী ইন্টারন্যাশনাল ও ভিশন বিজনেস সেন্টার নামের দু’টি অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকারের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৫১টি চাকরির আবেদনপত্র, ৩টি সিল, ৫টি আইডি কার্ড, ৫টি ল্যাপটপ, বিপুল পরিমাণ ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, টাকা আদায়ের রশিদ, চাকরি প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করা হয়েছে।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ব্যক্তির নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ‘গাজী ইন্টারন্যাশনাল লি.’ ও ‘ভিশন বিজনেস সেন্টার’ নামে দু’টি ট্রেড লাইসেন্স নেন। এরপর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকায় দু’টি অফিস খুলে। এই প্রতারক চক্র উক্ত দুটি কোম্পানির বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের জন্য ফেসবুক, অনলাইন ও লিফলেটের মাধ্যমে ভুয়া বিজ্ঞাপন দেয়। তারা চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ একহাজার টাকা ও প্রশিক্ষণ বাবদ ৮-১২ হাজার টাকা করে নিতো। কোম্পানির ইউনিট ম্যানেজার, ব্যাঞ্চ ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে ২০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদের প্রলুব্ধ করতো। এরপর ওই ভুয়া কোম্পানিতে তাদের চাকরি দিতো। কিন্তু মাসের পর মাস অফিসে আসা-যাওয়া করেও বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয়-ভীতি, হুমকি এমনকি মারধরও করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন ধরে গাজী ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লি. ও ভিশন বিজনেস সেন্টার নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে চাকরির কথা বলে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
র্যাব-১১’র অধিনায়ক জানান, এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির নামে পত্রিকা, লিফলেট ও অনলাইনে লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তাছাড়া আবেদন ফরম, প্রশিক্ষণ ও ভালো পদের কথা বলেও প্রচুর নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা কাউসার আহমেদ চৌধুরী বিজয়। তার নেতৃত্বে এই সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র দেশের নামিদামি কোম্পানির নামের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে অভিজাত এলাকায় ফ্লোর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে সু-সজ্জিত অফিস খুলে। লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে বেকার তরুণদের আকৃষ্ট করে।
😅😅😅