গত শুক্রবার বরগুনা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা নার্গিস সুলতানা অশ্রু পৌর শহরের আমতলাপাড় এলাকার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। প্রায় সময় মারধর করা হতো অশ্রুকে।
নিহতের বড় ভাই গোলাম সরোয়ার মিরণের অভিযোগ স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার দুপুরের পর পর তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।এ মৃত্যুর জন্য হিরুই দায়ী।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মিরণ বাদী হয়ে স্বামী স্কুল শিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরুকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ শুক্রবার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই এটি হত্যা না আত্মহত্যা তার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।