নিজস্ব প্রতিনিধি,আরিফুর রহমান রনী
পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার,মহিপুর কুয়াকাটায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেই সরকারি কোনো এম্বুলেন্স ব্যবস্থা। এতে ইমারজেন্সি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা বলেন,হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় এমারজেন্সি রুগীকে ১ ঘন্টা অপেক্ষার পড়ে নিতে হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। এতে ঘটতে পাড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভাধীন হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর থেকেই রয়েছে চিকিৎসক সংকট।
একজন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎক ও একজন ওয়ার্ড বয় দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
আরো জানা গেছে,লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার উপকূলীয় এ অঞ্চলে প্রায় ৪০,০০০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র এই হাসপাতলটি হলেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলী ইউনিয়নের কচ্ছপখালী, নবীনপুর, পাঞ্জুপাড়া, পশ্চিম কুয়াকাটা, শরীফপুর, মস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষগুলো।
এছাড়া সব সময় কমবেশি পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এই কুয়াকাটা৷ কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট ভোগ করে নিজ গন্তব্যে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় অরাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহিদ সমস্যার কথা তুলে ডিজিটাল চোখকে বলেন,জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,এই ৪০হাজার মানুষের জন্য একটা সরকারি এম্বুলেন্স নেই, এর চেয়ে আর দুঃখ কি থাকতে পারে কুয়াকাটা সর্বস্তরের জনগনের। এবং এখানে ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে গেলে হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যায় না, খোজ করতে গেলে তাদের পাওয়া যায় কোয়ার্টার এ,আর কত অবহেলিত হতে হবে কুয়াকাটাবাসীর। তিনি আরো বলেন মহিপুর কুয়াকাটা সর্বস্তরের দাবি এই হাস্পাতালে একটি সরকারী এম্বুলেন্স দেওয়া হোক।