দ্যা রানিং স্টার
কবে থেকে যে আকাশে তারা দৌরানো দেখা শুরু করেছী তা ঠিক মনে নেই। তবে যতটুকু মনে পরে সেই ছোট বেলাই মা আর কাকিরা পৌষের সন্ধ্যাবেলা ধান সিদ্ধ করত তখন আমি, নিয়াজ আর আমাদের কাজের ছেলে এমাদুল উঠনের উপর রাখা সদ্য মারাই করা খরকুটর স্তুপের উপর উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখতাম। মাঝে মাঝে একটা তারা দক্ষিনের আকাশে আস্তে আস্তে করে পশ্চিম থেকে পূর্বের আকাশে চলে যেত। কখনও কখনও আবার পূর্ব থেকে পশ্চিমের আকাশেও যেত তারাটি। এমাদুল বলত এই তারা নাকি পরী। আমি বিস্ব্যাস করিনি এমাদুলের কথা। পরে কোনো একদিন এক বড় ভাইয়ের কাছে জানতে পারি ওটা তারা না উড়োজাহাজ। দক্ষিনের আকাশের ওই তারা দৌরানোর কৌতোহল আমার এত বড় হওয়ার পর আজও আছে। যদিও আমি জানি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে রয়েছে আর্ন্তজাতিক এয়ারলাইন্স রুট। যেই রুটে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি উড়োজাহাজ চলে। আমাদের পাথরঘাটা শহর বঙ্গোপসাগরের উপকূল হওয়ায় উড়োজাহাজ চলাচল রাতের বেলা তারার মত করে দেখায়। আমার কাছে এইসব রহস্য উম্মচন হওয়ার পরও আমি আজও তারাদের দৌওরানো দেখার জন্য রাতের আকাশের দিকে তাকাই। কিন্তু আজ কথাও কোনো তারা দৌরাই না। না দক্ষিনের অাকাশে না পশ্চিমের আকাশে কারন আজ বিশ্ব্যে কথাও কোনো উড়োজাহাজ উরছে না। মানুষ আজ উড়োজাহাজ উরাতে ভয় পাই কারন সারা পৃথিবী এক আচেনা দু্র্যোগে আক্রান্ত সেই দু্র্যোগ হচ্ছে করনা ভাইরাস। করনা ভাইরাস নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, কিনা আবার ওরা আমাকেই আক্রামন করে, তাই। জানিনা কত দিন আকাশে তারা দৌওরানো দেখেতে পাব না। গত বিশ বছরে আমি যখনি বাড়ী ছিলাম আর দুই তিন দিনের মধ্যে একদিন তারা দৌরানো দেখিনি এমন কখনও হইনি। আমি আশা করি বিশ্ব্য খুব তারাতারি এই করনা ভাইরাস সংকট কাটিয়ে উঠবে আর আমিও আবার আকাশে তারা দৌরানো দেখতে পাব।