লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারীর অন্যতম দুই হোতাকে পাথারঘাটার নাচনাপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশী অপহরণ চক্রের ২ সদস্যকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে আটক করেছে র্যাব-১২।
আটক দুজন হলেন মোহাম্মদ সজল ও ইদ্রিস আলি।
বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান র্যাব-১২ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
তিনি জানান, সম্প্রতি বরগুনার লিবিয়া প্রবাসী মুরশিদ গাজী ও বগুড়ার লিবিয়া প্রবাসী সাইফুল এই দুইজন লিবিয়ায় অপহৃত হয়। অপহরনকারীরা লিবিয়া থেকে ফেক ফেসবুক আইডি থেকে অপহৃত মুরশীদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজীকে অপহরকারীদের নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ পাঠায় এবং তাদের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দেওয়া হলে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় তাদের বিকাশ এবং নগদের নম্বর দেওয়া হয়। অপহৃতদের মধ্যে মুরশীদের পরিবার সেই নম্বরে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সাইফুলের পরিবার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে।
সম্প্রতি র্যাবের হাতে সেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজটি আসলে র্যাব ভিডিও ফুটেজ এবং মোবাইল নম্বরগুলোর সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে অপহরণকারী চক্রের মূলসদস্য লিবিয়া প্রবাসী সোহেলের ছোট ভাই সজল এবং নগদের এজেন্ট ইদ্রিস আলী আটক করে। এ সময় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল সেট, ২৯টি সীমকার্ড, হিসেবের খাতাসহ নগদ টাকা উদ্ধার করে। তবে অপহৃতরা লিবিয়ায় সুস্থ রয়েছে বলে জানান র্যাব।
এদিকে লিবিয়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তিন মানব পাচারকারি ও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে র্যাব-১৪। মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানায় র্যাব। র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
এ সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. হেলাল মিয়া ওরফে হেলু , মো. খবির উদ্দিন ও শহিদ মিয়াকে গেপ্তার এবং সন্দেহভাজন মুন্নি আক্তার রুপসীকে আটক করা হয়।