শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থানে নেয়াসহ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, দায়িত্ব ও অধিকার, চাকুরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, শিক্ষাসংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপর গুরুত্ব দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল বরগুনায় ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘কাঙ্খিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক : শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’ ।
এনজিওদের জোট গণ সাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় ও সংগ্রামের উদ্যোগে স্থানীয় শিক্ষকদের আয়োজনে বরগুনা জেলা প্রশাসনের ‘সুবর্নজয়ন্তী’ সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব চৌধূরী মোহাম্মদ মাসুম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান, জেলা শিক্ষা নেটওয়ার্কের সভাপতি হাসান ঝন্টু, এনজিও ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সহ-সভাপতি শামস্ উদ্দীন খাঁন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল। বক্তব্য রেখেছেন লোকবেতারের পরিচালক মনির হোসেন কামাল, পুলিশলাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইদ্রিসুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ প্রমুখ। বক্তব্য শেষে কলেজ পর্যায়, মাধ্যমিক পর্যায় ও প্রাথমিক পর্যায়ের জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্য থেকে নয়জনকে সম্মাননা ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
জাতি গঠনের ও উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম শিক্ষা। শিক্ষার কথা বললে প্রথমেই যে কথাটি আসে তা হলো শিক্ষক। কারণ শিক্ষকই হচ্ছেন শিক্ষাব্যবস্থার মূল নিয়ামক। শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত উৎকর্ষ নির্ভর করে শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার উপর। শিক্ষকদের অধিকার, দায়িত্ব এবং মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার বিষয়ে বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে আলোকপাত করেন।