বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের। যে কারণে এসব রোগে আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়ছে প্রতিদিন। ফার্মেসিগুলো বলছে, সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না তারা। ওষুধ শিল্প সমিতি বলছে, কোভিডের প্রাথমিক চিকিৎসায় এসব ওষুধের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাহিদামতো সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজীয় সাধারণ ওষুধের সংকট যুক্তিহীন, অধিক মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
শত সংকটেও জ্বর, সর্দি, কাশি কিংবা গলা ব্যথার মতো সাধারণ নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা জনগণের হাতের নাগালেই থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে এসব রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নাপা, ফেক্সো, এইস, কেভিক কিংবা রেক্সের মতো ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানের পর দোকান ঘুরে কাঙ্ক্ষিত ওষুধ না পেয়ে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি থাকায় বেড়েছে সংকট।
ওষুধ শিল্প সমিতির দাবি স্বাভাবিক আছে সরবরাহ। বরং মানুষ আতঙ্কিত হয়ে নিত্যপণ্যের মতো এসব ওষুধও মজুদ করছেন, ফলে বেড়েছে সংকট।
আর কোভিড চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ রোগের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট যুক্তিহীন। অধিক মুনাফার লোভে কৃত্রিক সংকট তৈরি করা হয়েছে।
ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের তাগিদ সাধারণ মানুষের।