নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরিফ
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল খালেকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে মরহুমের নিজ বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালি গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এক মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন
দাফনের আগে মরহুম আব্দুল খালেকের জানাজা নামাজ পরান ইমামের দায়িত্ব নিয়ে বরগুনা -২ বামনা,পাথরঘাটা,বেতাগী, আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন (এমপি)।
জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন, বরগুনা পুলিশ সুপার, বেতাগী পৌরসভার মেয়র,বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আব্দুল খালেকের বাড়ি
বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের আব্দুল আজিম উদ্দিন মৃধার পুত্র ও পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক আব্দুল খালেক। আব্দুল খালেক ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপির পুলিশ। অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত ছিলেন।
ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর এ,এস,আই আব্দুল খালেককে আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়। বুধবার তার করোনার পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্টে তার করোনায় পজিটিভ আসে। এদিন বিকেল থেকে আব্দুল খালেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। জানা যায়, খালেক তখন কোয়ারেন্টাইনে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেবার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল খালেক শান্ত, বিনয়ী, দায়িত্বপরায়ন ও কর্তব্য পালনে নিরলস, নিরহংকার, সদা হাস্যোজ্জল স্বভাবের ছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।।
এরপর মরহুমের ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রীসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি ও এসপিসহ উপস্থিত পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা মরহুমের স্বজনদের শান্তনা দেয়ার পাশাপাশি বিপদ আপদসহ সবসময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় মরহুমের পরিবারকে নগদ অর্থসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয় বরগুনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।