গ্রাম বাংলাপাথরঘাটাবরগুনাবরিশালবাংলাদেশসব

“স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই স্মার্ট যুবসমাজ”পাথরঘাটার মঞ্চে ঢাবি ভিসি ড.আখতারুজ্জামান

“স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই স্মার্ট যুবসমাজ”পাথরঘাটার মঞ্চে ঢাবি ভিসি ড.আখতারুজ্জামান

‘টেকসই বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট হওয়ার বিকল্প নেই! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের আহ্বান জানিয়েছেন তার একটি তাৎপর্য আছে, এমন ধরনের মানব সম্পদ তৈরি করা এমন ধরনের একটি যুবসমাজ তৈরি করা, যে মানুষগুলো হবে অনেক উদার, যে দেশের মানুষ গুলো হবে অনেক অসাম্প্রদায়িক চেতনার, যে দেশের মানুষগুলো হবে অনেক মানবিক, যে মানুষগুলো হবে জ্ঞানে ও শিক্ষায় দক্ষ। যে জ্ঞানে, প্রযুক্তিতে দক্ষতা, মানবিক চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা মুল্যবোধ থাকবে। তার মধ্যে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক গুনাবলী থাকবে। প্রযুক্তি, জ্ঞানভিত্তিক ও মানসিক অর্জন এটিই হলো টেকসই অর্জন আর এ থেকেই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

শুক্রবার কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর প্রতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এ কথা বলেন। বেলা ১১ টায় কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পূর্তিতে ৮০ পাউন্ডের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি তার ছাত্র জীবনের অনেক স্মৃতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবির খান, সিভিল এভিয়েশনের ডিরেক্টর মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ বিলবোর্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, চ্যানেল আইয়ের এসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, এলাকার পুত্রবধূ বরগুনা -২ আসনের প্রয়াত সাংসদ গোলাম সবুর টুলুর সহধর্মিনী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সুলতানা নাদিরাসহ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না যে শিক্ষার নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেই শিক্ষা হবে সবচেয়ে টেকসই। ওই শিক্ষা সবচেয়ে টেকসই হয় যে শিক্ষা নানা ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্জন করতে হয়। আজকের এধরনের যে অনুষ্ঠান হল এ অনুষ্ঠানের মধ্য থেকে বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিখবে সেটি অনেক বছর নানা ধরনের বই পরেও তা শিখতে পারবে না একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে, একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর নানা বিষয়ে জানতে পারলো, কিভাবে একটি অনুষ্ঠান সাজাতে হয়, কিভাবে নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকতে হয়, কি কি উপাদান থাকতে হয় এটি প্রায়োগিক বিদ্যা প্রায়োগিক জ্ঞান; এ বিদ্যা টুকু যখন আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে সংযোজন ঘটাতে পারবো যেটি আমাদের সাথে ছাত্রজীবনে করা হতো তাতেই হবে টেকসই বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রতি বছর সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন এই বিদ্যালয়ে একটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন প্রয়োজন। অ্যালামনাই এসোসিয়েশন তৈরি করার জন্য সকলকে আহবান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বিদ্যালয়ের ট্রাস্ট ফান্ডে ২ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী চ্যানেল আইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম ও বাংলাদেশ বিলবোর্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান।

Back to top button

এড ব্লক এল্যার্ট

আমাদের সাইটি ভিজিট করতে দয়া করে আপনার ব্রাউজারের এড ব্লক এক্টেনশনটি বন্ধ করুন।