এস এসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ দেখে নিন কোন বোর্ডে কত পেয়েছে,
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সেখানে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৮৩, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৭৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৩, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০.১৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.২২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫।
জানা গেছে, ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার পর দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটগুলোতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী মোবাইলে ফল পেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে, তাদের নির্ধারিত নম্বরে জিপিএ গ্রেডসহ ফল পাঠানো হবে।
এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে আট লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ ছাত্রী। ছাত্রের তুলনায় ৫১ হাজার ৪০৪ ছাত্রী বেশি।
মাদরাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। ছাত্রী অংশ নেয় এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ১২ হাজার ৯৭৮ জন বেশি। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
পরীক্ষার ফল পেতে সারাদেশে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৭২৬ শিক্ষার্থী প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন থেকে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৯, রবি থেকে চার লাখ ৭১ হাজার ২৮৯, টেলিটক থেকে এক লাখ ১৫ হাজার ৯১৫ ও বাংলালিংক থেকে এক লাখ ৬১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থী রয়েছে। চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা রেজিস্ট্রেশন করবে, ফলাফল প্রকাশের পর তাদের মোবাইল নম্বরে সার্ভারের মাধ্যমে জিপিএ গ্রেডসহ ফল পাঠানো হবে। তবে সবাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসবে না। অনেকে ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস করে ফল জানবে। এ কারণে সবাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় না এলেও উদ্বেগের কিছু নেই।
ফল প্রকাশের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল সংগ্রহের আহ্বান জানান জিয়াউল হক।
এদিকে, আগামী ৬ থেকে ৭ জুন থেকে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড। এ স্তরে ক্লাস কবে শুরু হবে, সেটি নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। তবে আগস্টে ক্লাস শুরুর লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।