বরগুনায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সহ ৭ জন গ্রেফতার ২০ জনকে আসামি করে মামলা
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় ঈদের দিন বিকেলে হৃদয় নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। হৃদয়ের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার রাত নয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান হোসেন।
বরগুনায় স্কুলছাত্র হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্তসহ জড়িত সন্দেহে মোট সাত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গোলবুনিয়া এলাকার পনু কাজীর ছেলে নোমান কাজী (১৮) ও লিটনের ছেলে নয়নের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে হৃদয় ও তার বন্ধু বান্ধবদের কথা কাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে হতাহত হয়। এতে গুরুতর আহত হৃদয় (১৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১নং আসামী নোমান (১৮) , ২নং আসামী নয়নসহ (১৭) এজাহারভুক্ত ৬জন ও জড়িত সন্দেহে একজন মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকীদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার ঈদের দিন বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে বেড়াতে নোমান ও নয়নের সাথে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলার শিকার হয়ে হৃদয় (১৫) মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায়।
হৃদয় বরগুনা পৌরশহরের চরকলোনী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনালে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল
এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান হোসেন বলেন, হৃদয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত আমরা সাতজনকে আটক করেছি। এছাড়াও আমাদের অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার ঈদের দিন বিকেলে বরগুনার পায়রা নদীর পাড়ে গোলবুনিয়া বল্ক ইয়ার্ডে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যান হৃদয়। এ সময় হৃদয়ের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে অভিযুক্তরা উত্ত্যক্ত করলে হৃদয় এর প্রতিবাদ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে অভিযুক্তরা হৃদয়সহ তার কয়েক বন্ধুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে গুরুতর আহত হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে আজ (মঙ্গলবার) সকালে মৃত্যুবরণ করেন হৃদয়