নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে এরি মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় জলচ্ছ্বাসে নিচু এলাকা গুলো তলিয়ে গেছ। এদিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কয়েকটি বেরিবাধ বেঙে পড়েছে। পাথরঘাটা উপজেলায় ধারন করেছে তীব্র আকারে বাতাসের গতি।
ফলে পাথরঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকয় ভেঙে পড়তে শুরু করেছে গাছ এবং বাড়ির টিনের চালা
ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ক্যাটাগরি টু(২) পর্যায়ে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি রাতের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
১ মিনিট স্থিতিকাল হিসাবে বর্তমানে ঝড়ের মধ্যে
বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ প্রায়
১৬৫ কিঃমিঃ/ঘন্টা
যা দমকা ও ঝড়োহওয়ার ঝাপ্টা হিসাবে
প্রায় ২০০ কিঃমিঃ/ঘন্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রমশ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হওয়া
এবং বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
বিকাল থেকে সন্ধা নাগাদ উপকূলে
আঘাত হানতে পারে।
ঝড়টি বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে
ধাবিত হতে থাকবে।
প্রাথমিক আঘাতের স্থান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের
সুন্দরবন এলাকা।
ঘূর্ণিঝড়টি প্রচুর পরিমাণে মেঘ সঞ্চয় করে চলেছে
এবং সমগ্র বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে ব্যাপক
ঝড়-বৃষ্টি থাকবে।
এখন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ার
ঝাপ্টা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
বিকাল ৪ টার মধ্যে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে
যেতে পারে দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে।
তীব্রতা খুলনা-বরিশাল বিভাগে বেশী থাকবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০(দশ) নম্বর
মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
সমুদ্র বন্দরকে ৯(নয়) নম্বর মহা বিপদ সংকেত
দেখাতে বলা হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ ফুট হতে পারে।