নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকল সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে যা আগামী ২৪ ঘন্টায় আরো বাড়তে পারে। তাছাড়াও মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দিয়েছে।তাই কেউ ট্রলার নিয়ে বেশি দূরে যাবেন না। নিরাপদ জায়গায় থাকুন।
দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিনত হতে পারে।এটি আগামী ১৯-২২ মে ভারতের উড়িষ্যা হতে বাংলাদেশের কক্সবাজার পর্যন্ত যেকেনো যায়গায় আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ৪ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি যেখানেই আঘাত হানুক না কেনো বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে উক্ত সময়ে।
সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশ
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা সমূহকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
BWOT এর দীর্ঘ মেয়াদী গবেষনা বলছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় এ যে সব এলাকা ঝুঁকির আওতায় রয়েছ তা নিচে শ্রেনীবিন্যাস করে দেওয়া হলো
১)সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ >বাংলাদেশের উল্লেখ যোগ্য অঞ্চল গুলো হলো – সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,পটুয়াখালী,পিরোজপুর, বরিশাল,ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, হাতিয় ও লক্ষীপুর উপকূলীয় অঞ্চল।
ভারতের উড়িষ্যা উপকূল, উল্লেখ যোগ্য অঞ্চল গুলো হলো ব্রাহ্মপুর,পুরি, ভুবনেশ্বর ও পশ্চিম বঙ্গ।
🟠২)ঝুঁকিপূর্ণ > চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও মায়ানমারের উত্তর পশ্চিম উপকূল ।
🟡৩)মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ> ভারতের আন্দ্রাপ্রদেশ ও মিয়ানমার পশ্চিম উপকূল।
🟢৪)কম ঝুঁকিপূর্ণ > ভারতের তামিলনাড়ু মিয়ানমারের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল।
সর্তক সংকেত – চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০১(এক) নম্বর পুন ০১(এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছ।